হযরত শাহজালাল বিমানবন্দরের আগুন: কীভাবে ঘটল এবং বিস্তারিত তথ্য

0

হযরত শাহজালাল বিমানবন্দরের আগুন কীভাবে লাগে

দুপুর ১৮ অক্টোবর ২০২৫, হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কার্গো ভিলেজে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড ঘটে। কার্গো ভিলেজের একটি কুরিয়ার সেকশন থেকে আগুনের সূত্রপাত ঘটে। যার কারণে বিমানবন্দরের ফ্লাইটগুলো বিলম্বিত হয়। এই দুর্ঘটনার প্রভাব শুধুমাত্র বিমানবন্দরে নয়, বরং আমদানি ও রপ্তানি খাতেও বিপুল ক্ষতির সম্মুখীন হয়।

হযরত শাহজালাল বিমানবন্দরের আগুন

আগুনে ক্ষয়ক্ষতি

ভয়াবহ আগুনে সম্পূর্ণ কার্গো সেকশন ধ্বংস হয়ে যায়। আগুন দ্রুত ছড়িয়ে পড়ার কারণে ভিআইপি গেট সংলগ্ন ওষুধ উৎপাদনের, কাঁচামাল সংরক্ষিত এলাকায় আগুন পৌঁছে যায়। এতে প্রচুর মালামাল পুড়ে যায়। ধোঁয়া শহরের বিভিন্ন জায়গায় থেকে দেখা যায়, যা স্থানীয় মানুষদের মধ্যে আতঙ্কের সৃষ্টি করে।

বিমানবন্দরের ফায়ার সার্ভিস, বাংলাদেশ বিমান বাহিনী ও নৌবাহিনীসহ অন্যান্য সংশ্লিষ্ট সংস্থা তৎপরতা দেখিয়ে রাত পর্যন্ত আগুন নিয়ন্ত্রণে নিয়ে আসে। 

bangladesh dhaka airport fire

ফ্লাইট বিলম্ব ও যাত্রীদের দুর্ভোগ

আগুনের কারণে ফ্লাইট চলাচল, সাময়িকভাবে স্থগিত করা হয়। শনিবার রাতের শিডিউলের অনেক ফ্লাইট রবিবার সকালে উড়াল দে। কোনো কোনো ফ্লাইট নির্ধারিত সময়ের থেকে ১০ থেকে ১২ ঘণ্টা পর উড়াল দিয়েছে।

বিদেশগামী যাত্রীরা অনেক সময় ধরে বিমানবন্দরে অপেক্ষা করতে বাধ্য হন। ট্রানজিট যাত্রীরা ও সমস্যার সম্মুখীন হন। যাত্রীদের অভিযোগ হলো, তারা প্রয়োজনীয় তথ্য না পেয়ে অসুবিধায় পড়েছেন।

আমদানি ও রপ্তানিতে প্রভাব

আগুনের ফলে আমদানিকৃত বহু মালামাল পুড়ে ছারখার হয়ে যায়। পোশাক উৎপাদকরা উল্লেখ করেছেন, উৎপাদনে ব্যাঘাত ঘটেছে এবং নতুন করে পণ্য সরবরাহ করতে আর্থিক চাপ বৃদ্ধি পেয়েছে। এই ক্ষয়ক্ষতি দেশের অর্থনীতির উপর প্রভাব ফেলতে পারে।

সরকারী পদক্ষেপ ও তদন্ত কমিটি গঠন

সরকার অগ্নিকাণ্ডের কারণ সম্পর্কে জানতে ও ক্ষয়ক্ষতি নিরূপণের জন্য একটি তদন্ত কমিটি গঠন করে। কমিটি দ্রুত রিপোর্ট তৈরি করে, প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবে। বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ ফ্লাইট চলাচল পুনরায় আগের মতো সচল করতে কাজ করছে এবং নিরাপত্তা ব্যবস্থা আগের থেকে শক্তিশালী করা হচ্ছে।

  • Older

    হযরত শাহজালাল বিমানবন্দরের আগুন: কীভাবে ঘটল এবং বিস্তারিত তথ্য

Post a Comment

0 Comments

Post a Comment (0)
3/related/default